সরস্বতী স্তব
মন্ত্র
ওঁ ঐং সরস্বত্যৈ নমঃ
গায়ত্রী মন্ত্র : ওঁ বাগদেব্যৈ বিদ্মহে কামরাজায় ধীমহি তন্নোঃ দেবী প্রচোদয়াৎ।
ওঁ তরুণশকলমিন্দোর্বিভ্রতী শুভ্রকান্তিঃ
কুচভরনমিতাঙ্গী সন্নিষণ্ণা সিতাব্জে।
নিজকরকমলোদ্যল্লেখনীপুস্তকশ্রীঃ
সকলবিভবসিদ্ধ্যৈ পাতু বাগ্-দেবতা নঃ।
অর্থাৎ, “চন্দ্রের নূতন কলাধারিণী, শুভ্রকান্তি, কুচভরনমিতাঙ্গী, শ্বেত পদ্মাসনে (উত্তমরূপে) আসীনা, হস্তে ধৃত লেখনী ও পুস্তকের দ্বারা শোভমানা বাগ্দেবী সকল বিভবপ্রাপ্তির জন্য আমাদিগকে রক্ষা করুন।”
আবার পদ্মপুরাণ-এ উল্লিখিত সরস্বতীস্তোত্রম্-এ বর্ণিত হয়েছে,
সরস্বতীর স্তবঃ শ্বেতপদ্মাসনা দেবী শ্বেত পুষ্পোপশোভিতা।
শ্বেতাম্ভরধরা নিত্যা শ্বেতাগন্ধানুলেপনা।।
শ্বেতাক্ষসূত্রহস্তা চ শ্বেতচন্দনচর্চ্চিতা।
শ্বেতবীণাধরা শুভ্রা শ্বেতালঙ্কারবভূষিতা
বন্দিতা সিদ্ধগন্ধর্ব্বৈর্চ্চিতা দেবদানবৈঃ।
পূঝিতা মুনিভি: সর্ব্বৈঋষিভিঃ স্তূয়তে সদা।।
স্তোত্রেণানেন তাং দেবীং জগদ্ধাত্রীং সরস্বতীম্।
যে স্মরতি ত্রিসন্ধ্যায়ং সর্ব্বাং বিদ্যাং লভন্তি তে।।
অর্থাৎ, “দেবী সরস্বতী আদ্যন্তবিহীনা, শ্বেতপদ্মে আসীনা, শ্বেতপুষ্পে শোভিতা, শ্বেতবস্ত্র-পরিহিতা এবং শ্বেতগন্ধে অনুলিপ্তা।১ অধিকন্তু তাঁহার হস্তে শ্বেত রুদ্রাক্ষের মালা; তিনি শ্বেতচন্দনে চর্চিতা, শ্বেতবীণাধারিণী, শুভ্রবর্ণা এবং শ্বেত অলঙ্কারে ভূষিতা।২
যা কুন্দেন্দু তুষারহার ধবলা যা শ্বেত পদ্মাসনা
যা বীণা বরদস্ত মন্ডিত ভুজা যা শুভ্রবস্ত্রাবৃতা |
যা ব্রহ্মাচ্যুত শঙ্কর প্রভৃতিভি দেবৈঃ সদা বন্দিতা
সা মাং পাতু সরস্বতী ভগবতী নিঃশেষ্-জাভ্যাপন্থা
সা মে বসতু জিহ্বায়াং বীণাপুস্তকধারিণী |
সুরারিবল্লাভ দেবী সর্বশুক্লা সরস্বতী
সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে |
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষি বিদ্যাং দেহি নমোহস্তুতে
অর্থাৎ যিনি কুন্দ পুষ্প, চন্দ্র ও তুষারমালা অর্থাৎ বরফরাশির ন্যায় শ্বেতবর্ণা, যিনি শ্বেতপদ্মে উপবিষ্টা, যাঁর হস্ত উত্তমবীণদন্ডে শোভিত, যিনি স্বেতবসনা, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ প্রভৃতি দেবগণ সর্বদা যাঁকে বন্দনা করেন এবং যিনি অশেষ মূর্খতা হরণ করেন সেই ভগবতী সরস্বতী আমাকে রক্ষা করুন | যিনি বীণা ও পুস্তকধারিণী, যাঁর সর্বাঙ্গ শ্বেতবর্ণ, সেই বিষ্ণুপত্নী সরস্বতী দেবী আমার জিহ্বায় অধিষ্ঠান করুন | হে অতুল ঐশ্বর্যশালিনী, বিদ্যাস্বরূপে, কমললোচনে, বিশ্বরূপে, বিশালনয়নে সরস্বতী আমাকে বিদ্যা দাও | তোমাকে প্রণাম করি |
তরুণ শকল মিন্দোর্বিভ্রতী শুভ্রকান্তিঃ
কুচভর নমিতাঙ্গী সন্নিষণা মিতাব্জে |
নিজকর কমলোদ্যল্লেখনী পুস্তকশ্রীঃ
সকল বিভ বসিদ্ধ্যৈ পাতু বাগদেবতা নঃ
অর্থাৎ যিনি নতুন চন্দ্রকলা ধারণ করেছেন, যিনি শ্বেতবর্ণা,স্তনভারে যাঁর অঙ্গ নত হয়ে পড়েছে, যিনি শ্বেতপদ্মে উপবিষ্টা, যাঁর নিজ করকমলে লেখনী ও পুস্তক শোভা পাচ্ছে, সেই বাগদেবী সরস্বতী সমস্ত বিদ্যাধনলাভে অধিকারী করার জন্য আমাদের রক্ষা করুন |
এবারে পূজা সমাপ্ত হলে সকলে হাতে চন্দনমিশ্রিত পুষ্প ও বিল্বপত্র নিয়ে একসঙ্গে উচ্চারণ করে পুষ্পাঞ্জলি দেয় —
যা কুন্দেন্দু তুষারহার ধবলা যা শ্বেত পদ্মাসনা
যা বীণা বরদস্ত মন্ডিত ভুজা যা শুভ্রবস্ত্রাবৃতা |
যা ব্রহ্মাচ্যুত শঙ্কর প্রভৃতিভি দেবৈঃ সদা বন্দিতা
সা মাং পাতু সরস্বতী ভগবতী নিঃশেষ্-জাভ্যাপন্থা
সা মে বসতু জিহ্বায়াং বীণাপুস্তকধারিণী |
সুরারিবল্লাভ দেবী সর্বশুক্লা সরস্বতী
সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে |
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষি বিদ্যাং দেহি নমোহস্তুতে
অর্থাৎ যিনি কুন্দ পুষ্প, চন্দ্র ও তুষারমালা অর্থাৎ বরফরাশির ন্যায় শ্বেতবর্ণা, যিনি শ্বেতপদ্মে উপবিষ্টা, যাঁর হস্ত উত্তমবীণদন্ডে শোভিত, যিনি স্বেতবসনা, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ প্রভৃতি দেবগণ সর্বদা যাঁকে বন্দনা করেন এবং যিনি অশেষ মূর্খতা হরণ করেন সেই ভগবতী সরস্বতী আমাকে রক্ষা করুন | যিনি বীণা ও পুস্তকধারিণী, যাঁর সর্বাঙ্গ শ্বেতবর্ণ, সেই বিষ্ণুপত্নী সরস্বতী দেবী আমার জিহ্বায় অধিষ্ঠান করুন | হে অতুল ঐশ্বর্যশালিনী, বিদ্যাস্বরূপে, কমললোচনে, বিশ্বরূপে, বিশালনয়নে সরস্বতী আমাকে বিদ্যা দাও | তোমাকে প্রণাম করি |
এরপর হাতজোড় করে সকলে সমবেতভাবে প্রার্থনা মন্ত্র উচ্চারণ করে (সাধারণতঃ দেখা যায় অধিকাংশ পুরোহিত এই মন্ত্রটি পাঠ করান না) —
যথা ন দেবো ভগবান ব্রহ্মা লোক-পিতামহঃ |
ত্বাং পরিত্যজ্য সন্ডিষ্ঠেৎ তথা ভব বরপ্রদা
বেদাঃ শাস্ত্রাণি সর্বাণি নৃত্যগীতাদিকঞ্চ যৎ |
ন বিহীনং ত্বয়া দেবে তথা মে সন্তু সিদ্ধয়ঃ
লক্ষ্মীমেধা ধরা পুষ্টি গৌরী তুষ্টিঃ প্রভা ধৃতিঃ |
এতাভিঃ পাহি তনুভিরন্টাভিমাং সরস্বতী
অর্থাৎ সর্বলোকের পিতামহ (মনুষ্যগণ যাঁর পুত্র‚ সেই মনুর পিতা অথবা পিতৃলোকের পিতা বলিয়া) দেব ভগবান ব্রহ্মা তোমাকে পরিত্যাগ করে যেমন থাকতে পারেন না (অর্থাৎ তুমি যেমন কখনও তাঁকে ছেড়ে থাক না) আমার প্রতি সেরূপ বরদাত্রী হও | চার বেদ, সকল শাস্ত্র এবং নৃত্যগীতাদি যা কিছু আছে, তা তোমা ছাড়া নয় | হে দেবী, সেই সকল বিষয়ে আমার সিদ্ধি হোক | হে সরস্বতী, লক্ষ্মী, মেধা, ধরা, পুষ্টি, গৌরী, তুষ্টি,প্রভা ও ধৃতি — এই আট মূর্তিতে আমাকে রক্ষা কর |
সবশেষে সকলে নতমস্তকে প্রণাম মন্ত্র উচ্চারণ করে —
ওঁ ভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈঃ নমো নমঃ |
বেদ-বেদান্ত-বেদাঙ্গ-বিদ্যাস্থানেভ্য এব চ
অর্থাৎ সরস্বতীকে বার বার প্রণাম করি | যিনি ভদ্রকালী অর্থাৎ মঙ্গলাবিধায়িনী, তাঁহাকে সর্বদা প্রণাম করি | বেদ, বেদান্ত, বেদাঙ্গাদি চতুর্দশ বিদ্যাস্থানকেও প্রণাম করি |
ওঁ ঐং সরস্বত্যৈ নমঃ
গায়ত্রী মন্ত্র : ওঁ বাগদেব্যৈ বিদ্মহে কামরাজায় ধীমহি তন্নোঃ দেবী প্রচোদয়াৎ।
ওঁ তরুণশকলমিন্দোর্বিভ্রতী শুভ্রকান্তিঃ
কুচভরনমিতাঙ্গী সন্নিষণ্ণা সিতাব্জে।
নিজকরকমলোদ্যল্লেখনীপুস্তকশ্রীঃ
সকলবিভবসিদ্ধ্যৈ পাতু বাগ্-দেবতা নঃ।
অর্থাৎ, “চন্দ্রের নূতন কলাধারিণী, শুভ্রকান্তি, কুচভরনমিতাঙ্গী, শ্বেত পদ্মাসনে (উত্তমরূপে) আসীনা, হস্তে ধৃত লেখনী ও পুস্তকের দ্বারা শোভমানা বাগ্দেবী সকল বিভবপ্রাপ্তির জন্য আমাদিগকে রক্ষা করুন।”
আবার পদ্মপুরাণ-এ উল্লিখিত সরস্বতীস্তোত্রম্-এ বর্ণিত হয়েছে,
সরস্বতীর স্তবঃ শ্বেতপদ্মাসনা দেবী শ্বেত পুষ্পোপশোভিতা।
শ্বেতাম্ভরধরা নিত্যা শ্বেতাগন্ধানুলেপনা।।
শ্বেতাক্ষসূত্রহস্তা চ শ্বেতচন্দনচর্চ্চিতা।
শ্বেতবীণাধরা শুভ্রা শ্বেতালঙ্কারবভূষিতা
বন্দিতা সিদ্ধগন্ধর্ব্বৈর্চ্চিতা দেবদানবৈঃ।
পূঝিতা মুনিভি: সর্ব্বৈঋষিভিঃ স্তূয়তে সদা।।
স্তোত্রেণানেন তাং দেবীং জগদ্ধাত্রীং সরস্বতীম্।
যে স্মরতি ত্রিসন্ধ্যায়ং সর্ব্বাং বিদ্যাং লভন্তি তে।।
অর্থাৎ, “দেবী সরস্বতী আদ্যন্তবিহীনা, শ্বেতপদ্মে আসীনা, শ্বেতপুষ্পে শোভিতা, শ্বেতবস্ত্র-পরিহিতা এবং শ্বেতগন্ধে অনুলিপ্তা।১ অধিকন্তু তাঁহার হস্তে শ্বেত রুদ্রাক্ষের মালা; তিনি শ্বেতচন্দনে চর্চিতা, শ্বেতবীণাধারিণী, শুভ্রবর্ণা এবং শ্বেত অলঙ্কারে ভূষিতা।২
যা কুন্দেন্দু তুষারহার ধবলা যা শ্বেত পদ্মাসনা
যা বীণা বরদস্ত মন্ডিত ভুজা যা শুভ্রবস্ত্রাবৃতা |
যা ব্রহ্মাচ্যুত শঙ্কর প্রভৃতিভি দেবৈঃ সদা বন্দিতা
সা মাং পাতু সরস্বতী ভগবতী নিঃশেষ্-জাভ্যাপন্থা
সা মে বসতু জিহ্বায়াং বীণাপুস্তকধারিণী |
সুরারিবল্লাভ দেবী সর্বশুক্লা সরস্বতী
সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে |
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষি বিদ্যাং দেহি নমোহস্তুতে
অর্থাৎ যিনি কুন্দ পুষ্প, চন্দ্র ও তুষারমালা অর্থাৎ বরফরাশির ন্যায় শ্বেতবর্ণা, যিনি শ্বেতপদ্মে উপবিষ্টা, যাঁর হস্ত উত্তমবীণদন্ডে শোভিত, যিনি স্বেতবসনা, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ প্রভৃতি দেবগণ সর্বদা যাঁকে বন্দনা করেন এবং যিনি অশেষ মূর্খতা হরণ করেন সেই ভগবতী সরস্বতী আমাকে রক্ষা করুন | যিনি বীণা ও পুস্তকধারিণী, যাঁর সর্বাঙ্গ শ্বেতবর্ণ, সেই বিষ্ণুপত্নী সরস্বতী দেবী আমার জিহ্বায় অধিষ্ঠান করুন | হে অতুল ঐশ্বর্যশালিনী, বিদ্যাস্বরূপে, কমললোচনে, বিশ্বরূপে, বিশালনয়নে সরস্বতী আমাকে বিদ্যা দাও | তোমাকে প্রণাম করি |
তরুণ শকল মিন্দোর্বিভ্রতী শুভ্রকান্তিঃ
কুচভর নমিতাঙ্গী সন্নিষণা মিতাব্জে |
নিজকর কমলোদ্যল্লেখনী পুস্তকশ্রীঃ
সকল বিভ বসিদ্ধ্যৈ পাতু বাগদেবতা নঃ
অর্থাৎ যিনি নতুন চন্দ্রকলা ধারণ করেছেন, যিনি শ্বেতবর্ণা,স্তনভারে যাঁর অঙ্গ নত হয়ে পড়েছে, যিনি শ্বেতপদ্মে উপবিষ্টা, যাঁর নিজ করকমলে লেখনী ও পুস্তক শোভা পাচ্ছে, সেই বাগদেবী সরস্বতী সমস্ত বিদ্যাধনলাভে অধিকারী করার জন্য আমাদের রক্ষা করুন |
এবারে পূজা সমাপ্ত হলে সকলে হাতে চন্দনমিশ্রিত পুষ্প ও বিল্বপত্র নিয়ে একসঙ্গে উচ্চারণ করে পুষ্পাঞ্জলি দেয় —
যা কুন্দেন্দু তুষারহার ধবলা যা শ্বেত পদ্মাসনা
যা বীণা বরদস্ত মন্ডিত ভুজা যা শুভ্রবস্ত্রাবৃতা |
যা ব্রহ্মাচ্যুত শঙ্কর প্রভৃতিভি দেবৈঃ সদা বন্দিতা
সা মাং পাতু সরস্বতী ভগবতী নিঃশেষ্-জাভ্যাপন্থা
সা মে বসতু জিহ্বায়াং বীণাপুস্তকধারিণী |
সুরারিবল্লাভ দেবী সর্বশুক্লা সরস্বতী
সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে |
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষি বিদ্যাং দেহি নমোহস্তুতে
অর্থাৎ যিনি কুন্দ পুষ্প, চন্দ্র ও তুষারমালা অর্থাৎ বরফরাশির ন্যায় শ্বেতবর্ণা, যিনি শ্বেতপদ্মে উপবিষ্টা, যাঁর হস্ত উত্তমবীণদন্ডে শোভিত, যিনি স্বেতবসনা, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ প্রভৃতি দেবগণ সর্বদা যাঁকে বন্দনা করেন এবং যিনি অশেষ মূর্খতা হরণ করেন সেই ভগবতী সরস্বতী আমাকে রক্ষা করুন | যিনি বীণা ও পুস্তকধারিণী, যাঁর সর্বাঙ্গ শ্বেতবর্ণ, সেই বিষ্ণুপত্নী সরস্বতী দেবী আমার জিহ্বায় অধিষ্ঠান করুন | হে অতুল ঐশ্বর্যশালিনী, বিদ্যাস্বরূপে, কমললোচনে, বিশ্বরূপে, বিশালনয়নে সরস্বতী আমাকে বিদ্যা দাও | তোমাকে প্রণাম করি |
এরপর হাতজোড় করে সকলে সমবেতভাবে প্রার্থনা মন্ত্র উচ্চারণ করে (সাধারণতঃ দেখা যায় অধিকাংশ পুরোহিত এই মন্ত্রটি পাঠ করান না) —
যথা ন দেবো ভগবান ব্রহ্মা লোক-পিতামহঃ |
ত্বাং পরিত্যজ্য সন্ডিষ্ঠেৎ তথা ভব বরপ্রদা
বেদাঃ শাস্ত্রাণি সর্বাণি নৃত্যগীতাদিকঞ্চ যৎ |
ন বিহীনং ত্বয়া দেবে তথা মে সন্তু সিদ্ধয়ঃ
লক্ষ্মীমেধা ধরা পুষ্টি গৌরী তুষ্টিঃ প্রভা ধৃতিঃ |
এতাভিঃ পাহি তনুভিরন্টাভিমাং সরস্বতী
অর্থাৎ সর্বলোকের পিতামহ (মনুষ্যগণ যাঁর পুত্র‚ সেই মনুর পিতা অথবা পিতৃলোকের পিতা বলিয়া) দেব ভগবান ব্রহ্মা তোমাকে পরিত্যাগ করে যেমন থাকতে পারেন না (অর্থাৎ তুমি যেমন কখনও তাঁকে ছেড়ে থাক না) আমার প্রতি সেরূপ বরদাত্রী হও | চার বেদ, সকল শাস্ত্র এবং নৃত্যগীতাদি যা কিছু আছে, তা তোমা ছাড়া নয় | হে দেবী, সেই সকল বিষয়ে আমার সিদ্ধি হোক | হে সরস্বতী, লক্ষ্মী, মেধা, ধরা, পুষ্টি, গৌরী, তুষ্টি,প্রভা ও ধৃতি — এই আট মূর্তিতে আমাকে রক্ষা কর |
সবশেষে সকলে নতমস্তকে প্রণাম মন্ত্র উচ্চারণ করে —
ওঁ ভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈঃ নমো নমঃ |
বেদ-বেদান্ত-বেদাঙ্গ-বিদ্যাস্থানেভ্য এব চ
অর্থাৎ সরস্বতীকে বার বার প্রণাম করি | যিনি ভদ্রকালী অর্থাৎ মঙ্গলাবিধায়িনী, তাঁহাকে সর্বদা প্রণাম করি | বেদ, বেদান্ত, বেদাঙ্গাদি চতুর্দশ বিদ্যাস্থানকেও প্রণাম করি |
No comments